বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় রংপুর কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রংপুর মহানগর জামায়াত।
বিজয় দিবসের আয়োজনে দেওয়া বক্তব্যে ওই অধ্যক্ষ বলেন, জাতীয় পতাকা খামচে ধরেছে পুরোনো শকুন জামায়াত-শিবির। তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ১৯৭১ সালকে ক্ষীণ করার জন্য ২৪ সালের জুলাই আগস্টকে তুলনা করা হয়, এটা কখনো হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদসভায় ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মহানগর জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট আওয়ামী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অ্যাজেন্ডা হিসেবে আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া এমন বক্তব্য রেখেছেন। তার এই বক্তব্য জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষ বিদ্বেষপূর্ণ ও হঠকারী বক্তব্য দিয়েছেন। এ সময় তার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এটিএম আজম খান বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৬ বছর রংপুর অঞ্চলে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মামলা-হামলা, জেল জুলুম উপেক্ষা করে, সব অন্যায়, জুলুম শোষণের বিরুদ্ধে, জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের মতো এ অঞ্চলের উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সামাজিক কাজে অবদান রেখে চলেছে। জামায়াতের সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াত দল হিসেবে সর্বদা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে আসছে। জামায়াতের এ ভূমিকায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বার্থান্বেষী মহল বরাবরের মতোই প্রোপাগান্ডা অব্যাহত রেখেছে। এমন হীন বক্তব্য দেওয়ার জন্য ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন