পঞ্চগড়ের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে পাক্ষি খেলা, লাঠি খেলা, রশি টানাটানি, বউচি, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠা খেলা আর ডাংগুলি খেলা অন্যতম। আকাশ-সংস্কৃতির যুগে এসব খেলা প্রায় ভুলতে বসেছে এই জেলার মানুষ। আর প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা দেখতে মেতে ওঠে সদর উপজেলার হাজারো মানুষ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব খেলাধুলার আয়োজন করে সদর উপজেলা প্রশাসন। জেলা সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজন করা হয় এসব গ্রামীণ খেলাধুলার প্রতিযোগিতা।
বিকেলে নিজেই ডাংগুলি খেলতে মাঠে নেমে পড়েন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। সন্ধ্যায় এসব খেলার বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার পদস্থ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আল ইমরান খানসহ ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া গ্রামের হাশেম আলী বলেন, আমরা ছোটবেলায় এসব খেলা দেখেছিলাম। লাঠিখেলা ছিল আমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলা। হিজরি মহররহম মাস এলেই গ্রামগঞ্জে দেখা যেত লাঠিখেলা। আগামী প্রজন্মের কাছে এসব খেলা টিকিয়ে রাখার জন্য তারা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আমি আশা করব, প্রতিবছর যেন এমন আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা, কৃষ্টি-কালচার আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য এই উদ্যোগ। আমরা চেষ্টা করছি, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দর্শকরা যেমন আনন্দ পাবে, তেমনি আমাদের ছেলেমেয়েরা এই খেলাধুলা নিয়ে আনন্দ পাবে।
মন্তব্য করুন