টানা তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। তবে সকাল ৮টার পর দেখা মিলছে সূর্যের।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ ছিল। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
হালকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। পৌষের শুরুতেই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে টানা তিনদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
অন্যদিকে, তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯%। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও পারে।
মন্তব্য করুন