সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ দুই গণমাধ্যম কর্মীকে সম্মাননা দিয়েছে মেহেরপুরে প্রেসক্লাব।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবটির ৮ম বর্ষে পদার্পণ উদযাপন অনুষ্ঠানে তাদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
সম্মাননা স্মারক প্রাপ্তরা হলেন- কালবেলার জেলা প্রতিনিধি খান মাহমুদ আল রাফি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর জেলা প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন। ২০২৪ সালে মেহেরপুর জেলায় অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তৈরিতে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
আলোচনা সভা, পিঠা উৎসব ও সম্মাননা স্মারক প্রদানের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চান্দুর সঞ্চালনা ও সভাপতি তোজাম্মেল আযমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল আমিন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মন্টু, জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক আলামিন হোসেন বকুল এবং ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ারুল হক কালু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, এই সংগঠনটির সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বর্তমান সমাজে সাংবাদিকতা খুবই চ্যালেঞ্জিং পেশা। যে সমাজে গণতন্ত্র থাকে না, সে সমাজ দারুণভাবে অসুস্থ, সেই সমাজে আসলে মুক্ত চিন্তা ও সাংবাদিকতার চর্চা করা প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং। বিগত সময়ে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই প্রেসক্লাব নিজ অবস্থানে তৈরি করেছে। আগামীতেও সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব তার অবস্থান ধরে রাখবে সেই প্রত্যাশা করছি।
এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের আরও বস্তুনিষ্ঠ ও মানসম্মত খবর পরিবেশন করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের বেশি বেশি পড়াশোনার মধ্য দিয়ে নিজ নিজ জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
অন্যান্য অতিথিরা তাদের বক্তব্যে জেলা প্রেস ক্লাবের সার্বিক কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিগত সরকারের সময়ে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব সদস্যদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নির্ভীক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে অতিথিরা সংবাদ কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আলোচনা সভা শেষে জেলার সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ দুই সাংবাদিককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অতঃপর পিঠা উৎসব উদযাপন করা হয়।
মন্তব্য করুন