মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মুগদার বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
শফিউল্লাহ শফির স্ত্রী উম্মে হালিমা বলেন, মঙ্গলবার রাতে কিছু লোক আমাদের বাসা ঘিরে ফেলে। পরে আমার স্বামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন লোকজন। তার নামে কোনো মামলা ছিল না। এক বছর যাবত তিনি ব্রেন স্ট্রোক করে রীতিমতো শয্যাশায়ী। তবে কী কারণে তাকে আটক করা হলো তা জানি না।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করলেও পরে কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঙ্গে রাজনীতি করেন। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী রাজনীতিতে তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। তিনি দুবার গজারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
গজারিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রাতে তার ঢাকার বাসা মুগদা থেকে আটক করে। পরে মুগদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মুগদা থানা পুলিশ চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শফিকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন