সিরাজগঞ্জে কলেজ ছাত্রাবাসের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে অবৈধভাবে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছে তাইফ আহমেদ নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের নির্দেশেই তিনি দোকান তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লাপাড়ায় অবস্থিত সরকারি আকবর আলী কলেজের আবু তাহের ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দোকান অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. আলী আশরাফ।
লিখিতে দরখাস্তে অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন, আকবর আলী কলেজের আবু তাহের ছাত্রাবাসের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে অবৈধভাবে দুটি সেমিপাকা দোকান তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাউন্ডারির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে নির্মিত ওই দোকান অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রণের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. আলী আশরাফ বলেন, দোকানগুলো কলেজের নিজস্ব জায়গাতে তৈরি করা হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক সরকারি জমিজমা বেদখল বিষয়ে তথ্য এবং উদ্ধারের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রমাণসহ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশের প্রেক্ষিতে দোকান দুটি অপসারণের জন্য তাদের নোটিশ করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরও দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। আমাদের কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই। আমরা চাই সরকারি সম্পত্তি সরকারের হাতে ফিরে আসুক।
উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তাইফ আহমেদ কলেজের জায়গায় দোকান দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বেকার। তাই আমাকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসেন এখানে বসিয়ে দিয়েছেন। আমাকে বলা হয়েছে- কেউ যদি এ বিষয়ে ফোন দেয় তুমি তাদের সঙ্গে কথা না বলে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসেন বলেন, ছেলেটা দরিদ্র পরিবারের। ছাত্রদল করে অনেক নির্যাতিত। এ কারণে প্রিন্সিপাল সাহেবের অনুমতিক্রমে ছেলেটাকে সেখানে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। গরিব মানুষ কাজ করুক। সরকারি জায়গা দখলের প্রশ্নই আসে না। কলেজের প্রয়োজন হলে নোটিশ করবে চলে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, আমি দরখাস্ত পেয়েছি। উচ্ছেদের জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে। সেটি এসিল্যান্ড অফিসে আছে। নিয়ম অনুযায়ী সেটা ডিসি স্যারের কাছে চলে যাবে। এরপর ডিসি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে।
মন্তব্য করুন