হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। ফলে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে কুয়াশায় জড়ানো পুরো জনপদ। রোদ উঁকি দিয়েছে কোথাও কোথাও। উত্তরের হিমেল বাতাস নতুন করে বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের মাত্রা। তারপরও জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে নিম্নবিত্ত মানুষরা কাজে নেমে পড়েছেন। তবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষদের।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে রোগীর চাপ বেড়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাণ ৯৯ শতাংশ। ১০ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে। এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমেল বাতাসের কারণে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে। তবে সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন