চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের একটি সারবাহী জাহাজে ডাকাতের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মিলেছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের ঈশানবালা ও মাঝের চর এলাকার মাঝামাঝি মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাত দলের হামলার ঘটনা ঘটে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়া তিনজন হলেন- জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৬৫) ও তার ভাগনে সবুজ। এ দুজন ডাকাতদের হামলায় নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহতের নাম জুয়েল রানা (৩৫)। তিনি চার বছর ধরে জাহাজে সুকানির কাজ করছিলেন। তিনজনের বাড়িই ফরিদপুর।
কিবরিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, গোলাম কিবরিয়া জাহাজটির মাস্টার ছিলেন এবং সবুজ লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা ফরিদপুর সদরের গেরদা ইাউনিয়নের জোয়ারের মোড় এলাকার বাসিন্দা। কিবরিয়া সদরের জোয়ারের মোড়ের মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। আর সবুজ হলেন গোলাম কিবরিয়ার ভাগনে। সবুজ ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন। অন্যদিকে কিবরিয়া ৪ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। দুই মেয়ে এবং এক ছেলের বাবা কিবরিয়া ৪০ বছর আগে জাহাজের কাজে যোগ দেন। এবারের যাত্রায় ছিল তার শেষ ট্রিপ। মাল নামিয়েই বাড়ি চলে আসার কথা ছিল তার। মামা-ভাগনের নিহতের খবরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
সবুজের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২৫ দিন আগে মামা কিবরিয়ার সঙ্গে জাহাজের কাজে যোগ দিয়েছিলেন সবুজ। তিনি ফরিদপুর জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের জোয়াইর এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে। সোমবার বিকেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারেন।
ঢাকা মেডিকেলের আবাসিক কর্মকর্তা সিরাজ সালেক জানিয়েছেন, ডাকাতের হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আহত জুয়েলকে রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে নাক, কান ও গলা বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। জুয়েল রানার শ্বাসনালি কেটে যাওয়ায় সেখানে টিউব যুক্ত করা হয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
মন্তব্য করুন