কুমিল্লার দেবিদ্বারে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে মাওলানা জোবায়েরপন্থি আলেম-ওলামারা। তারা টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার ও বাংলাদেশে সাদ পন্থিদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের নিউ মার্কেটের স্বাধীনতা চত্বরে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ সময় রাস্তার দুপাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে ৬ দফা দাবি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘সাদপন্থিরা কোনো তাবলিগ জামাত নয়, এরা সন্ত্রাসী সংগঠন। এরা বাংলাদেশের কোনো মসজিদে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। তারা আওয়ামী লীগ, ইসরায়েল ও ভারতের দালাল। ওরা তাবলিগ জামাতের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বর্তমান সরকারকে বাংলাদেশে এদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘ভারতীয় ইসরায়েলের দালাল সাদপন্থিরা ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের মতো আবারও একই কায়দায় গত ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আমলরত অবস্থায় ছোট ছোট হাফেজ, আলেম ও তাবলিগের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা করেছে। অনেকেই এ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশের ওলামায়ে কেরাম, বুদ্ধিজীবী, সমন্বয়ক ও সর্বোচ্চ মহল এই সাদীয়ানী গ্রুপকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই এই সাদপন্থি সন্ত্রাসী গ্রুপকে মসজিদে দ্বীন ও তাবলিগের নামে তাদের সব কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া সরকারের কাছে হামলায় জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা।’
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন তাবলিগের আমির মাও. গিয়াস উদ্দিন, তাবলিগের দায়িত্বশীল মাও. মিজানুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সভাপতি মাও. আবদুল হালিম, সেক্রেটারি মাও. ইয়াহিয়া রাশেদ, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাও. আবু তাহের, মাও. ইমরান, মাও. মিজানুর রহমান, মুফতি আওলাদ হোসেন মুরাদী, মাও. মিজানুর রহমান, মাও. আশরাফুল আলম ওবায়দী, মুফতি সাইদুল ইসলাম সাঈদ, মাও. সালেহ আহমেদ মুনীরী, মাও.আবু কালাম আজাদ, মাও. মাহবুবুর রহমান ও মাও. সালমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন