রংপুরের পীরগাছায় ঘাঘট নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি ও পরিবহনের দায়ে ৩ ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নগরজিৎপুর কালুরঘাট এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হক সুমন অভিযান পরিচালনাকালে এ দণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাইটাল গ্রামের বাহার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২), নগরজিৎপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে মমিনুল ইসলাম (৩৫), আনন্দি ধনিরাম গ্রামের নয়া মিয়া মেম্বারের ছেলে মাসুদ রানা (৩৮)।
জানা যায়, পীরগাছা ও মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘাঘট নদীর কালুরঘাট সেতুর নিচ থেকে দীর্ঘদিন ধরে জনৈক আঙ্গুর মিয়া ও মোখলেছার নামে দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন।
গত ৪ ডিসেম্বর দৈনিক কালবেলায় ‘ঘাঘটে মাটি লুটের মহোৎসব, ঝুঁকিতে কালুরঘাট সেতু’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর কিছুদিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও পুনরায় অভিযুক্তরা কয়েকদিন ধরে ওই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হক সুমন অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় স্পট থেকে ২টি ট্রাক্টরসহ ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ট্রাক্টরসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০২৩-এর ৭ক ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে একই আইনের ১৫(১) ধারায় তাদেরকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের পীরগাছা থানা পুলিশের মাধ্যমে জেলখানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন