দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ঘাটের নৌরুট। কুয়াশা পড়লেই এ নৌরুটে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলের পর থেকে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের ভিড় বাড়তে শুরু করে।
পরে সন্ধ্যার পর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের ভিড় বাড়লে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীসহ যানবাহনের চালকরা। শীতের মধ্যে যানবাহনের দীর্ঘ সারির কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশুসহ বয়স্কদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামালবোঝাই ট্রাকচালকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বেশি। কারণ বেশিক্ষণ যানজটে থাকলে কাঁচামাল পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সময়মতো নদী পারাপার না হলে চালকরা পড়বেন বেশি বিপদে।
তবে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। তাই কুয়াশার মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধের আগেই নদী পার হওয়ার আশায় যানবাহনচালকরা ঘাটে আগে এসে পৌঁছেছে। এ কারণেই যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে অতিরিক্ত যানবাহন সৃষ্টির কারণে এই নৌরুটে আরও ২টি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছোট-বড় মোট ১২টি ফেরি দিয়ে বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল করবে। এ ফেরিগুলো দিয়েই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে।
মন্তব্য করুন