বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে সংসার শুরু করেন নাহিদুল ইসলাম মুন্না (১৮)। পরিবারের অমতেই তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের দেড় বছর পর মুন্নার শ্বশুর মুন্নার বাড়িতে যান এবং এ বিয়ে মেনে নেওয়ার কথা বলে কৌশলে মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এরপর থেকে মুন্নার সঙ্গে মেয়েকে আর যোগাযোগ করতে দেননি।
পরে মুন্না অনেক চেষ্টা করেও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে বিষপানে অসুস্থ হন মুন্না। তাকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় মুন্নার।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত নাহিদুল ইসলাম মুন্না উপজেলার এলাঙ্গী ফকিরপাড়া গ্রামের মজনু আকন্দের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্নার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় মাদারীপুর জেলার কালকিনি এলাকার জুই নামে এক কিশোরীর। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দেড় বছর আগে ওই কিশোরী প্রেমের টানে বাবার বাড়ি ছেড়ে প্রেমিক মুন্নার কাছে আসে। মেয়েটির পরিবারের অমতে জুই ও মুন্নার বিয়ে হয়। এই দম্পতি ফকিরপাড়া গ্রামে সুখের সংসার করতে থাকে।
এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহ আগে মেয়েটির বাবা মুন্নার বাড়িতে যান এবং এ বিয়ে মেনে নেওয়ার কথা বলে কৌশলে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর থেকে মুন্নার সঙ্গে মেয়েকে আর যোগাযোগ করতে দেননি মেয়েটির বাবা। মুন্না অনেক চেষ্টা করেও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে বিষপানে অসুস্থ হন মুন্না। তাকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নাহিদুল ইসলাম মুন্নার মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন