চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজু বৈদ্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পঞ্চম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইসরাত জাহান জিনিয়া এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুর ২টার দিকে তাকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের এপিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজু বৈদ্য নগরের কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা ডাক্তার লেন এলাকার মধুসূদন বৈদ্যর ছেলে। ঘটনার দিন জনতা থাকে ধরে মারধরের পর পুলিশে দেয়। আদালত চত্বরের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার ১০ নম্বর আসামি সাজু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কোতোয়ালি থানার একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় আদালতে হাজির করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তার অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে আদালত ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকেন।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আদালত চত্বরে থাকা সরকারি গাড়িসহ মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে রঙ্গম সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে বিক্ষুব্ধরা।
পরদিন সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলা ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করে।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, সাজু বৈদ্যকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এতদিন চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
মন্তব্য করুন