হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে সিলেট আদালত এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন নুরকে (৫৯) বেধড়ক মারধর করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আসামিকে রক্ষা করতে গিয়ে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
আমির হোসেন নুর সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছাত্রদল নেতা সোহেল হত্যা মামলায় গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে নগরের মিরের ময়দান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। রাতেই তাকে বালাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে পুলিশ তাকে নিয়ে গেলে হামলা চালায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েও ঠেকাতে পারেনি। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
সিলেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, আসামিকে আদালতে হাজির করার আগেই হামলা হয়। আগে থেকে কোনো নিরাপত্তা হুমকি থাকলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা যেত। কিন্তু সাধারণ আসামি হিসেবেই তাকে আদালতে নিয়ে গেলে হামলা হয়। তখন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামি রক্ষার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, আহত অবস্থায় আসামিকে আদালতে পাঠানো যায়নি। তাই তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আসামির ওপর হামলার ঘটনা আমি জেনেছি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে সোহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ০২/২০১৯।
মন্তব্য করুন