লালমনিরহাট সরকারি হাসপাতালে খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুধার্ত রোগীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ৩টায় স্থানীয়দের তোপের মুখে তড়িঘড়ি করে খাবার সংগ্রহ করে রোগীদের মাঝে বিতরণ করেন ঠিকাদারের লোকজন।
এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন বলেন, প্রায়ই হাসপাতালে রোগীদের খাবার সময়মতো পরিবেশন করা হয় না। খাবারের মান খুব খারাপ। অনেক রোগী এসব খাবার খেতে না পেরে বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খান। আবার অনেক সময় রোগীরা খাবারই পান না। যতগুলো রোগী ভর্তি থাকেন, তাদের প্রত্যেককে খাবার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক সময় রোগীরা খাবার পান না।
এ সময় রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও খাবার দেওয়া হয় বিকেল ৩টায়। অনেক ভর্তি রোগী আবার সকালে খাবার পাননি।
রোগীরা বলেন, হাসপাতালের নোংরা পরিবেশে বসে খাবার খাওয়া যায় না। চারদিকে শুধু দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকে। হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। সবসময় ময়লা পানি জমে থাকে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের বাবুর্চি ফিরোজ আহমেদ বলেন, ঠিকাদার বাজার করে দিতে বিলম্ব করায় রান্নার কাজ করতে দেরি হয়েছে। ফলে রোগীদের খাবার দিতে বিলম্ব হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামিনা খাতুন বলেন, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ১১০ জন ভর্তি রোগীর মধ্যে ৮৪ জন রোগীর দুপুরের খাবার সময়মতো বুঝে পাই। বাকি রোগীর খাবার বিকেল ৩টার দিকে ঠিকাদারের লোকজন এসে দিয়ে যান। কেন রোগীদের খাবার পরিবেশনে বিলম্ব হলো এ ব্যাপারে তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন