দেশে গত ১৬ বছরে দুর্নীতি, লুটপাট ও গণহত্যার জন্য কর্তৃত্ববাদী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে ফিরিয়ে আনার কথা বলছি না। তিনি যে গণহত্যা চালিয়েছেন, লুটপাট করেছেন, ধ্বংস করেছেন এজন্য তাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। বিচারের মুখোমুখি করে এক ধরনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে চাই। যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দানবের পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশের টাকা নেই, অগ্রগতিও নেই। শেখ হাসিনা উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করেছে। অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক, বিমাসহ সবকিছুকে নিশ্চিহ্ন করেছে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশকে একেবারে ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এ জায়গা থেকে দেশকে উঠিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপির।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শুরুতে ’৭২-৭৫ সালে যে নির্মমতা হয়েছে দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। রক্ষী বাহিনী গঠন করে ৪০ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে মেরে ফেলা হয়েছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করা হয়েছিল, যিনি করেছিলেন তার নাম শেখ মুজিবর রহমান।
মুজিবের হাত থেকে জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পাওয়ার পর খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠন করেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সব রাজনৈতিক দলকে জীবন দিয়েছিলেন। বন্ধ করে দেওয়া সব সংবাদপত্র প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন। তার দেখানো পথে বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে লড়াই শুরু করেছি তা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিবাদকে চিরতরে মুছে ফেলার লড়াই। নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেটা জেনে বিএনপিকে তৈরি হতে হবে। নির্বাচনটাকে যত হালকাভাবে আমরা দেখব, ততটা নাও হতে পারে। তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করতে হবে। সেভাবে সংগঠনকে তৈরি করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলামসহ বিভাগের সাংগঠনিক দশ জেলার নেতারা।
মন্তব্য করুন