অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগেও জানতেন গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু অপারেশনের পর নবজাতকের মায়ের কাছে দেওয়া হলো একটি সন্তান। তাহলে আরেকটি বাচ্চা কোথায় গেল? এমনই অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনির ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের ফাঁসানোর জন্য রোগীর স্বজনরা মিথ্যা বলছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কালকিনির ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের ফয়সাল সরদার তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আয়শা আক্তারকে নিয়ে কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত ডিএমএফ সাইফুল ইসলাম ওই রোগীর আলট্রাসনোগ্রাম করে যমজ বাচ্চা থাকার বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করে এবং তাদের সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন।
পরবর্তী সময়ে তার পরামর্শে রাতে আয়েশা আক্তারের অপারেশন করানো হয়। অপারেশন চলাকালীন রোগীকে দুটি বাচ্চা দেখানো হলেও অপারেশনের পর রোগীর লোকজনকে যমজ বাচ্চার পরিবর্তে একটি বাচ্চা হয়েছে বলে জানানো হয়। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা। তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে কোনো কারণে বাচ্চা সরিয়ে ফেলেছে। তবে ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালের মালিকপক্ষের একজন হান্নান বেপারির দাবি, তাদের ফাঁসানোর জন্য রোগীর স্বজনরা মিথ্যা কথা বলছেন।
এদিকে যে কোনো ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টা একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ওখানে নেই কোনো আরএমও। ডিএমএফ চিকিৎসক দ্বারাই আলট্রাসনোসহ সব চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওই হাসপাতালের ডিএমএফ চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম আলট্রাসনো করার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি আলট্রাসনো করে একটি বাচ্চা পেয়েছেন, তা রোগীর লোককে বলেছেন।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই রোগীর শ্বশুর রুহুল আমিন সরদার নিখোঁজ শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ওই হাসপাতালে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন