চট্টগ্রামে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ আরও ১০ আসামিকে নতুন আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের পর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিস্ফোরক আইনে নতুন এ মামলাটি আইনজীবী সাইফুলের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করেছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আসামিরা হলেন আমান দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও সনু দাস।
এর আগে সকালে আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুলের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত চন্দন দাসসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।’
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নাকচ করে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ওই এলাকার রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে। এসব ঘটনায় একটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন