বাস শ্রমিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা ব্রিজ এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজি অটোরিকশার চালকরা। এতে রাজশাহী-তানোর-মুণ্ডুমালা রুটের বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা সেখানে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
কিছু সময় পর সড়ক ছেড়ে দিয়ে তারা দুইপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সিএনজি অটোরিকশার চালকদের এই কর্মসূচির কারণে ভাঙচুর আতঙ্কে রাজশাহী থেকে নওগাঁর উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। নওগাঁর বাসগুলো মোহনপুর পর্যন্ত চলাচল করছে।
গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিএনজি অটোরিকশার চালকরা তানোর উপজেলা সদরে বাসের ছয়জন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে মারধর করেন। এর জের ধরে ওইদিন দুপুর থেকে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ রাখা হয়। রাতে বাস চলাচল শুরু হলেও মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর বাস শ্রমিকরা নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি নিয়ে গিয়ে রেলগেট সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলা করেন। তারা ৭০ থেকে ৮০টি সিএনজি অটোরিকশার কাচ ভাঙচুর করে চলে যান। পরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে আবার বাস চলাচল শুরু হয়। তবে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আবার রাজশাহী-নওগাঁ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পবার নওটায় মানববন্ধনে সিএনজি চালকরা জানান, সিএনজি স্ট্যান্ডে এসে বাস শ্রমিকরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা প্রায় ৯০টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। যাত্রী-চালকসহ অন্তত ৪০ জনকে মারধর করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার বিচার চান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন এর বিচার করতে না পারলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
যদিও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার দায় স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, ‘ওরা নিজেরা নিজেরা ক্যাঁচাল করে নিজেরাই গাড়ি ভেঙেছে।’
রাজশাহীর পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘সিএনজি চালকরা বাস ভাঙচুর করতে পারেন এই আশঙ্কায় বাস চলছে না। আবার সিএনজি চালকেরাও তাদের সিএনজিও চলতে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সড়কে বাস যেমন বন্ধ থাকবে তেমনি সিএনজি অটোরিকশাও বন্ধ রাখতে হবে।’
রাজশাহী বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল কালবেলাকে বলেন, ‘বুধবার সকালে বাস চলাচল করার সময় সিএনজির চালকরা নওহাটায় আমাদের দুটি বাস ভাঙচুর করেছে। এ জন্য আতঙ্কে ওই রুটে রাজশাহী থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নওগাঁর বাস মোহনপুর পর্যন্ত এসে ফিরে যাচ্ছে।’
মন্তব্য করুন