আবারও কনটেইনারভর্তি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে পাকিস্তানের সেই জাহাজ। আগামী শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য বলছে, এবার জাহাজটিতে আনুমানিক ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ একক কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কোম্পানিটির। তবে জাহাজটি বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর পর সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কনটেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে। বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেনসি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা কালবেলাকে বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার পাকিস্তান থেকে কনটেইনার আনার হার বেড়েছে। এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বাড়লে নতুন এ পথে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভ্যাসেল ট্র্যাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্যবোঝাই করা হয় জাহাজটিতে।
পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয় গত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আনা হয় জাহাজটিতে করে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার, বাকিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো পণ্য নিয়ে রওনা হওয়া জাহাজটিতে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনারে কী পণ্য রয়েছে, তা জানা যায়নি। শিপিং কোম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর জানা যাবে— এবার কী কী পণ্য রয়েছে।
শিপিং কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মূলত পোশাকশিল্পের কাঁচামাল ও রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য— এসব পণ্যই পাকিস্তান থেকে আনা হয় কনটেইনারে। এবারও জাহাজটিতে এসব পণ্য থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন