কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২৫০ মণ ধান লুটের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন লুমা রাখাইন। ছবি : কালবেলা
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন লুমা রাখাইন। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় লুমা রাখাইন নামের এক নারীর প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা মো. আলী আক্কাসের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় বিচার চেয়ে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী লুমা।

অভিযুক্ত মো. আলী আক্কাস মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লুমা রাখাইন বলেন, আমার বাবার কাছ থেকে পাওয়া এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কেনা ৭ দশমিক ১৮ একর সম্পত্তি আমি আজীবন ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ ২০২২ সালে যুবদল নেতার পরামর্শে আমার ভাইয়ের দ্বারা সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে ৫ আগস্টের পরে এই ভূমিদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আচমকা গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে আমার জমিতে আমার বর্গাচাষি ধান কাটা শুরু করলে ওই আলী আক্কাস ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে এসে লাঠিসোঁটা আর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিয়ে সব জমির ধান লুট করে নিয়ে যায়। এসব জমিতে ২৫০ মণ মতো ধান হতো।

লুমা রাখাইন আরও বলেন, আমার বাবা মংচিং কবিরাজ জীবিত থাকাকালে পুরো সম্পত্তি স্থানীয় মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করে। তবে রেজিস্ট্রি দলিল হওয়ার আগে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। পরে আমি বাবার নেওয়া পুরো টাকা মংফরম তালুকদার ফেরত দিয়ে পুরো সম্পত্তি ফেরত আনি। এই বিষয়টি কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে এভিডেভিট করে নিয়ে আসি ২০০৪ সালে। পরে এই সম্পতির বিএস আমার নামে এবং খাজনা দিয়ে আসছি নিয়মিত। আমার আপন ভাই এমংচি ওরফে ইয়াইমংচিং প্রায় ৪৫ বছর বারমা ছিল। পরে ২০১০ সালে সে দেশে ফিরে এসে তার ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দাবি করলে আমি তার পাওনা ২ দশমিক ৪০ একর সম্পত্তি ফেরত দিই। পরে আবার আমার ভাই তার সেই ২ দশমিক ৪০ একর সম্পত্তি আমার কাছে বিক্রি করে।

এতদিন আমি এই পুরো সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। এর আগে যুবদল নেতা আক্কাস আলীর ছেলে রাব্বি হাং, ফিরোজ হাং, জাফর হাং, মো. কাদের, মো. জলিল মোল্লাসহ অনেকে এই জমির ধান লুট করার চেষ্টা করেন। তখন আমি বিষয়টা আমি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে জানালে তারা কাগজপত্র দেখে আক্কাসকে জমির কাছে যেতে নিষেধ করে। এর পরও তিনি আমার ধান লুট করে নিলেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা আলী আক্কাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজন ষড়যন্ত্র করছে। আমরা কখনো এই সম্পত্তি ভোগদখল করিনি। আর ধান লুটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

মহিপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, আমি বিষয়টি এখনো জানি না। তবে এ অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে সাংগঠনিকভাবে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাস বা লুটকারীদের জায়গা দলে নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুলিশের ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি

শুধু কথায় চিড়া ভিজবে না : তারেক রহমান

ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার সময় চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার 

অবশেষে গুচ্ছ ছাড়ল খুবি, আবেদন শুরু জানুয়ারিতে

‘আ.লীগের সুবিধাভোগী ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আমলারা বহাল তবিয়তে’

নিজের চলচ্চিত্রের পোস্টার নিজেই ছিড়লেন মেহজাবিন

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান ছাত্রদলের

ঘুষ ছাড়া সেবা মেলে না যশোর বিআরটিএ অফিসে

‘এমন রাজনীতি করবেন, ক্ষমতায় না থাকলেও পালিয়ে যেতে না হয়’

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম

১০

র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ হাসান ও মেহেদীর

১১

জয়বাংলা স্লোগান দেওয়ায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন এসআই খোকন

১৩

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন

১৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মামলা

১৫

আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চালানো দেখতে চাই না : সারজিস

১৬

বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে কর দিতে হবে : খুবি উপাচার্য

১৭

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোপনে রাশিয়ার মধ্যস্থতা

১৮

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৯

কচ্ছপসহ নারী পাচারকারী আটক, অতঃপর...

২০
X