নরসিংদীর পাঁচদোনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন, পাঁচদোনা এলাকার শাহিন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (৩২) ও মিজান মিয়ার ছেলে শুভ (১৯)। পিটুনিতে আহত শ্রমিক নেতা আলম মিয়া (৫৫) এবং পথচারী পলাশ উপজেলার দড়িচল গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী লিজা বেগম (৩২)। অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি।
এদিকে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে একই ঘটনায় পাঁচদোনা মোড়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে নতুন করে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচদোনা মোড়ে অবস্থিত সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লাল মিয়া এবং ছাত্রদল নেতা মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকাল থেকে তাদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে মোসাদ্দেকের কর্মী রনির পায়ে ও শুভর পেটে গুলি লাগে। পিটুনিতে আহত হন আলম মিয়াসহ আরও কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মোসাদ্দেক ও লাল মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাঁচদোনায় বিএনপি নেতা মো. লাল মিয়া মেম্বার ও মোসাদ্দেক হোসেনের সমর্থকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জেরে রাতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। সড়কের মাঝে টায়ারে আগুন জ্বালায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধসহ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন