তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
তালতলীর মোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

বরগুনার তালতলীর মোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন মেইনন্টেইনেন্স এবং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্লিপের বরাদ্দের প্রথম কিস্তিতে ২৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ২৫ হাজার টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায় মোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রুটিন মেন্টেইনেন্সের জন্য ৪০ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। এসব টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যবহারের কথা থাকলেও বিভিন্ন দোকানপাট থেকে অস্বাক্ষরিত ক্যাশ মেমো নিয়ে জাল স্বাক্ষর দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন মোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসা. রওশন আরা।

ক্যাশ মেমো যাচাই করে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্লিপের ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকার প্রথম কিস্তির বরাদ্দের ৮ হাজার ৯০০, দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দের ১১ হাজার ২৮০ টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দের ১১ হাজার ৭০০ টাকার ভুয়া ভাউচার তৈরি করে জাল স্বাক্ষর দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

মেসার্স জাহিদ ফার্নিচার নামে একটি দোকানের একটি ক্যাশ মেমো অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ২০২১ সালের শেষের দিকে দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে ওই দোকানের ভাউচার তৈরির কারসাজি দেখে রীতিমতো হতবাক ওখানকার বর্তমান ব্যবসায়ীরা। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকার ৩ হাজার ১০০ টাকার ভাউচার কপির স্বাক্ষর ভুয়া বলে জানা যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের রুটিন মেইন্টেইনেন্সের ৪ হাজার টাকার ৫ হাজার ৭০০ টাকা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। স্কুলের দেওয়া তথ্যের ২১টি ক্যাশ মেমোর মধ্যে ১১টি ক্যাশ মেমোর স্বাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি (জাল স্বাক্ষর)। ভুয়া ভাউচার তৈরির কারসাজি বন্ধে, সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

এছাড়াও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আল আমিন ওই উপজেলায় চাকরিতে যোগদানের পর থেকে নিয়ম বহির্ভূত ক্লাস করানোর অভিযোগ উঠে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার অনিয়মিত তদারকি, তদারকির নামে কর্মস্থল ফাঁকিরও অভিযোগ বিরল। তার স্থানীয় ঠিকানা একই জেলায় হওয়ায় নানা ধরনের তদবির করার খবর পাওয়া যায়।

মোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা গণমাধ্যমের কাছে কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাশার কালবেলাকে বলেন, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। সরকারি টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাসহ ইবি ছাত্রদলের ১০ দাবি

৯৭তম অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ

আবারও কড়াইল বস্তিতে আগুন

নরসিংদীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ও এম্পোরিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সমঝোতা স্মারক সই

তাবলিগ জামাতের ঘটনা নিয়ে আজহারীর স্ট্যাটাস

‘দাদাগিরির কারণে ভারত এখন বন্ধুশূন্য’

ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির সুযোগ

জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক : টুকু

কায়রোতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা 

১০

‘গুমে ভারতীয় সম্পৃক্ততা মিলেছে’

১১

ইজতেমা ময়দানে ১৪৪ ধারা জারি

১২

জামায়াতের লক্ষ্য একটি মানবিক সমাজ গঠন করা : নূরুল ইসলাম বুলবুল

১৩

সময় মাত্র ১৫ মিনিট: শাকিব খান

১৪

আরেক মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

১৫

তাবলিগ জামাতের ঘটনা নিয়ে সারজিসের ভিডিও বার্তা

১৬

‘ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হতো গুমের শিকার ব্যক্তিদের’

১৭

আমাদের বিজয় কারো দেওয়া উপঢৌকন নয়, ত‍্যাগের বিনিময়ে অর্জন : রাষ্ট্রদূত মুশফিক 

১৮

সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩ দিনেও মেলেনি সন্ধান

১৯

রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্যেই নামছে ন্যাটো

২০
X