বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম উদাহরণ। সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও প্রকৃত অর্থে এটি দুদিক থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতায় এমন আচরণ অনুপস্থিত।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার বিজয় চত্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, কেউ যদি সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে থাকে তা সুযোগসন্ধানী রাজনীতিকদের নোংরামির ফল। যারা এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় করছে সেটাও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কৌশল।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলেও দেখা যায়, এ দেশের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে। ইংরেজবিরোধী আন্দোলন থেকে ভাষা আন্দোলন এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা আন্দোলনেও এ দেশের মানুষ ধর্মীয় বাদ-বিচারের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় চেতনা নিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে লড়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলার আনাচে-কানাচে পাশাপাশি বাড়িতে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান বসবাস করছে, প্রতিনিয়ত তাদের পারস্পরিক লেনদেন হচ্ছে। সমমর্যাদা আর অধিকার নিয়ে এখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন পরিচালনা করছে। আমাদের এ অঞ্চলের সহজ সরল মানুষ পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং প্রত্যেককে তাদের ধর্মকর্ম পালনের সুযোগদানের ব্যাপারে সজাগ। প্রতিটি মসজিদে আজানের পবিত্র ধ্বনির আবহ যেমন মানব মনকে আলোড়িত করে, তেমনি মন্দির চর্চা কিংবা প্যাগোডায় বিনীত প্রার্থনার আকুলতাও পবিত্র আবহ ছড়ায়।
বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল গণি বসুনিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন তোবারক হ্যাপী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও সদস্য সচিব আশরাফুল আলম সোহেল, পঞ্চগড় জেলা জিয়া পরিষদের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন