পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষকের দুই একর জমির সবজি ও ফলের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মো. ইউসুফ আলীর (মহুরি) বিরুদ্ধে। তিনি কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মেলা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মেলাপাড়ায় প্রায় দুই একর জায়গায় দুই লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন ফলদ গাছের পাশাপাশি প্রায় তিনশ লাউ, কুমড়া, বেগুন, টমেটোর চাষাবাদ করেন কচ্ছপখালী এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান মৃর্ধা। গত কয়েকদিন আগে সবজি বিক্রি শুরু করলেও সোমবার সকালে উঠে কৃষক দেখেন তার ক্ষেতের প্রায় ৭০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সোলাইমান বলেন, এই এলাকায় তাদের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব দেখিনি। তারা এই কৃষি জমিতে অনেক পরিশ্রম করেছে আমরা দেখেছি। এটা অমানবিক, এই কাজে শুধু এ কৃষকের নায়; দেশেরও ক্ষতি করা হয়েছে। এই ধরনের অমানুষদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।
কৃষক হাবিবুর রহমান মূর্ধার বাবা আবু সালেহ মূর্ধা বলেন, রোববার রাতে আমি এশার নামাজ শেষে সবকিছু ঠিকঠাক দেখে শুয়ে পড়ি। কিন্তু রাতে বেশ কয়েকজন লোকের আনাগোনার শব্দ পাওয়া যায়, তবে আমি ভয়ে বের হইনি। সকালে উঠে দেখি আমাদের সর্বনাশ করেছে। এই এলাকায় আমাদের কোনো শত্রু নেই, কারা কেটেছে আমরা চোখে দেখিনি, তবে এখানে এই জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন আ.লীগ নেতা ইউসুফ মহুরির লোকজন। এই ক্ষতির বিচার চাই।
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার জোরে এতদিন আমাদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছিল। এখনো তারা থেমে নেই, রাতের আঁধারে সক্রিয়। আমার সবজি ও ফল ধরা গাছ তারা কেটে ফেলেছে। এবার কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার সবজি-ফল বিক্রি করতে পারতাম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গাজী মো. ইউসুফ আলী (মহুরি) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৫ তারিখের পরে আমরা পরিবারসহ এলাকার বাইরে ছিলাম। এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ষড়যন্ত্র করে দোষ আমার মাথায় চাপাচ্ছে। তাদের গাছগুলো কে বা কারা কেটেছে এগুলো আমার কিংবা আমার পরিবারের কারো জানা নেই।
মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন