হবিগঞ্জের মাধবপুরে কয়েকটি গার্মেন্টেস কোম্পানি থেকে নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে এক কৃষকের ৩০০ হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায়শই ওসব দূষিত পানিতে স্থানীয় হাঁস-মুরগি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতির ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগী ওই কৃষক খামারির নাম জমির আলী। তিনি উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত মোর্তুজ আলীর পুত্র।
এ ঘটনায় তার প্রায় ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে, চরম আর্থিক সংকটে দিন যাচ্ছে তার।
জানা যায়, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) খামারি জমির আলীর হাঁস স্থানীয় একটি খালের দূষিত পানিতে নামলে আচমকাই হাঁসগুলা মরতে শুরু করে। খামারির ৮০০ হাঁসের মধ্যে ৩০০ হাঁসই রাতের ভেতরে মারা যায়। এলাকায় পানি দূষণের কারণে আরো অহরহ হাঁসমুরগি ও খালবিলের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় ৩টি কোম্পানির দূষিত পানি খালে নিষ্কাশিত হয়। কোম্পানির ইটিপি ভালোভাবে কাজ না করায় স্থানীয় রাজখাল নামে পরিচিত একটি খাল চরম দূষণের শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই স্থানীয় কোম্পানিগুলো হলো- কভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি., পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি. ও নাহিদ টেক্সটাইল লি.।
ভুক্তভোগী কৃষক জমির আলী কালবেলাকে বলেন, আমার ৩০০ হাঁস কোম্পানির দূষিত পানিতে মারা গেছে। সবগুলা হাসছিল ডিমওয়াল খাকি ক্যাম্বেল জাতের। বাকি হাঁসগুলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি চাই দূষিত পানির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া কালবেলাকে জানান, খালটি দূষণের কারণে ক্রমেই বিপদজ্জনক হয়ে উঠছে। আজ জমির আলীর তিনশ হাঁস মারা গেল। আমরা এর বিহিদ চাই।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রদান করব। আর পানি দূষিতের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বে রয়েছে।
এ ব্যাপারে উল্লিখিত ৩টি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু কালবেলাকে জানান, কোম্পানিগুলা পরিবেশের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে। এরপরেও ফ্যাক্টরিসমূহ থেকে কোনো ধরনের দূষিত পানি খালে প্রবেশ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন