শরীয়তপুরের ডামুড্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত চারটি পরিবারকে নগদ অর্থ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ডামুড্যায় নিজ কার্যালয়ে উপজেলা ও ডামুড্যা পৌরসভা জামায়াতের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য দোয়া ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের স্মৃতিচারণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি এ দেশের সাধারণ মানুষ। তাই প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ ও বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জুলাই বিপ্লবের সূচনা হয়।
এসময় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার এ ত্যাগকে যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। আমি তাদের বলে দিতে চাই আপনারা দিবাস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন। জেনে রাখুন, এদেশের ইসলাম প্রিয় জনতা, ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লাখো লাখো নেতাকর্মীরা তাদের জীবন দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত সাড়ে পনেরো বছর ভারত সরকারের বিশেষ অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যা, ৫ মে হেফাজত ইসলামের নিরপরাধ আলেম হত্যা, ২৮ অক্টোবরে লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে জামায়াতের কর্মী হত্যাসহ জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নিরপরাধ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করতে বিন্দু পরিমাণ দ্বিধা করেনি। ক্ষমতার নেশায় তারা পাগল হয়ে গিয়েছিল।
শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ও ডামুড্যা উপজেলা আমির মাওলানা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা টিম ও শুরা সদস্য মো. ইলিয়াস কাজী, পৌরসভা নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক প্রমুখ।
সর্বশেষ আহতদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়ে, সব শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
মন্তব্য করুন