রংপুরের পীরগাছায় দুর্বল হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়েছে ৭ ফুট প্রস্থের একটি বিপন্নপ্রায় হিমালয়া গৃধিনী শকুন। পরে তাকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে ‘ওয়াইল্ডলাইফ স্ন্যাক অ্যান্ড রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ’।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শকুনটিকে পীরগাছার জেএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হস্তান্তরের জন্য আনা হয়। এ সময় বৃহদাকার শকুনটি দেখতে সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে।
এর আগে শকুনটি গতকাল রোববার লালমনিরহাট সদর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
ওয়াইল্ডলাইফ স্ন্যাক অ্যান্ড রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের পীরগাছা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান সোহেল কালবেলাকে জানান, এর আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পীরগাছা থেকে একই প্রজাতির আরেকটি শকুন তারা উদ্ধার করেছিলেন। সেটিকে শনিবার দিনাজপুরের সিংড়া শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে হস্তান্তর করে রোববার বাসায় ফেরার পথে খবর পান লালমনিরহাট সদরে আরও একটি শকুন লোকালয়ে বিচরণ করছে। পরে তারা সেখান থেকে শকুনটিকে উদ্ধার করে পীরগাছায় নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় মৃত প্রাণীর ওপর ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন নেমে আসত। তবে এখন বড় গাছ কমে যাওয়ায় শকুন তেমন দেখা যায় না। তারা আরও জানান, এতো বড় শকুন তারা আগে দেখেননি।
সংগঠনের প্রতিনিধি নূর হাসান নাহিদ বলেন, এই শকুন হিমালয় অঞ্চলের একটি পরিযায়ী প্রজাতি। শীতকালে খাবারের অভাবে তারা প্রায় ২ হাজার মাইল অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে আসে। দুর্বল হয়ে পড়লে অনেক সময় মাটিতে পড়ে যায়।
পীরগাছা বন বিভাগের প্রতিনিধি ময়েন উদ্দিন কালবেলাকে জানান, তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শকুনটির সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ওয়াইল্ডলাইফ স্ন্যাক অ্যান্ড রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং বিপন্ন প্রজাতি রক্ষায় তাদের কাজ অব্যাহত রাখার কথা জানান।
সচেতন মহলের দাবি, এ ধরনের বিপন্ন প্রাণীগুলো রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই বিরল প্রজাতির শকুনগুলো বেঁচে থাকার নতুন সম্ভাবনা পাবে।
মন্তব্য করুন