বর্তমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘হয় মাতৃভূমি রক্ষা করব, না হয় শহীদ হবো’—এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের দিনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে বিজয় র্যালি বের করে চট্টগ্রাম মহানগর শিবির। সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় জড়ো হন এবং পরে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত হলে র্যালিটি সেখান থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২ নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মু. শহীদুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজির হোসেন জুয়েল, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইবরাহীম, জেলা সভাপতিবৃন্দ, মহানগর ও সব জেলা শাখার সেক্রেটারিয়েটসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৪৭-এ একবার আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের শোষণের কারণে আমরা সে স্বাদ বেশিদিন ভোগ করতে পারিনি। এরপর ১৯৭১-এ এই দেশের মানুষ জীবন দিয়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জন করলেও শেখ মুজিব এ দেশে বাকশাল কায়েম করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফ্যাসিবাদের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, এ দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে জামায়াত নেতাদের নির্মমভাবে হত্যা করেন। সবশেষে ২৪-এর জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে দেশপ্রেমী ছাত্রজনতার ওপর গণহত্যা চালান।’
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করুন। এ কাজে ছাত্রশিবিরকে সর্বদা পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ।’
ভারতকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘তারা সীমান্তে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে। বর্ষাকালে নদীর বাঁধগুলো খুলে দিয়ে এ দেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে। যদি এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয় তাহলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।’
কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭১ সালে এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের জনতা যে উদ্দেশে রক্ত দিয়েছিল স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। যার প্রমাণ ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান।’
মন্তব্য করুন