চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো খাল খনন করে জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে খাল খনন কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সল্টগোলা ক্রসিং ধোপপুল তৈয়বিয়া মাদ্রাসার পাশে খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মো. হানিফ সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের কারণে এটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে চলে যায়। বর্তমানে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প চলছে। সিডিএর প্রকল্পে আনা হয়েছে মাত্র ৩৬টি। বাকি ২১টি খালের কী হবে? খালগুলো উদ্ধার না হলে জলাবদ্ধতা আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মেয়র বলেন, এই যে এক একটা অনিয়ম কিন্তু আওয়ামী লীগের সময় থেকে শুরু হয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা জনগণের জন্য কোনো উন্নয়নের কাজ করেনি। এখানে রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন তারা করেনি। খাল খনন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি। জলাবদ্ধতার মূল সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ ছিল না। খাল খনন কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করার ফলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য কাজ করে, আর আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের টাকা লুটপাট করে। এ এলাকায় অনেক উন্নয়ন হতে পারত। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিএনপি ক্ষমতায় না থাকার কারণে এখানে লুটপাট হয়েছে। ভোট ডাকাতির নির্বাচনে গদি দখল করা অনির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এক একজন ডাকাতের সর্দার ছিল। তারা এখানে উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের পরিবর্তে টাকা চুরি করেছে। ডাকাতি করেছে। মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
চসিক মেয়র বলেন, আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিতে ফিরতে হবে। এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ ছিল। তিনি আধুনিক, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের জন্য এ কর্মসূচি শুরু করেন। আমরা খালগুলো থেকে পলিথিন অপসারণের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থা নিচ্ছি। নালায় ময়লা, প্লাস্টিক, ককশিট ফেলা বন্ধ করতে হবে। আমি নিজে মহেশখালসহ বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেছি। পলিথিনের স্তর আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য সবার প্রতি অনুরোধ, খাল ও নালাগুলো পরিষ্কার রাখুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ কামাল উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, সি. সহসভাপতি হাসান মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, ৩৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. জাহেদ, সহসভাপতি মো. কামরুজ্জামান, মো. আলী, যুগ্ম সম্পাদক মো. হোসেন মনা, অ্যাড. মো. হাসানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
এ সময় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড অফিস প্রাঙ্গণে পরিছন্নকর্মীদের হাজিরা যাচাই করেন। পরে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে খালখনন কার্যক্রমে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন