নাটোরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লেংগুড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ভুয়া সাংবাদিকসহ চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার চাঁদপুর ও লেংগুড়িয়া এলাকায় দুই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করে চক্রটি। পরে তাদের টাকা না দিলে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। সে টাকা আনতে গেলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী ওই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিক নাহিদুল ইসলাম নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
লেংগুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আকলিমা খাতুন বলেন, ভুয়া সাংবাদিকরা এসে আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া দাবি করে। প্রতিবেদন করলে নাকি ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিবেদন বন্ধ করতে হলে টাকা দিতে হবে ৫০ হাজার। এত টাকা কীভাবে দিব বললে ১০ হাজার টাকা চায় তারা। পরে আমি আমার ছাগল বিক্রি করে ৯ হাজার টাকা দেব বলে জানাই। সেই টাকা নিতে এসেছে এ ভুয়া সাংবাদিক। পরে শুনেছি আমার মতো অনেকের কাছেই তারা টাকা চেয়েছে। আমি এদের শাস্তি চাই।
সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। মামলায় নাছিমুর ইসলাম নাসিম, তানিয়া, সোহেল হাসান, আবুল বাশার নামে আরও চার ভুয়া সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এসব প্রতারককে ধরিয়ে দিতে পেশাদার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন