ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দুটি ইসলামি সংগঠন। এসব কর্মসূচি থেকে তাহেরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আহলে সুন্নাত তরুণ ওলামা পরিষদ। এর আগে একই দাবিতে সকালে নগরীর বিবিরহাট চত্বরে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, আল্লামা তাহেরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এই মামলার বিষয়ে সরকার সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটাই কামনা করছি।
প্রসঙ্গত,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর উসকানিতে গত শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আখাউড়ায় মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মওয়ার ছেলে হানিফ মিয়া, মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন। গত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শুক্রবার বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিশে চলতে থাকা এ মাহফিলে বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী স্টেজে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাঁয়তারা করছিলেন। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট অফিসার এসআই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া পুলিশ নিয়ে বিকেল পৌনে ৪টায় সেখানে যান।
তাহেরী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার সব মাহফিলে পুলিশ বাঁধা দেয়, এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেব না।’ এরপরই লাঠিসোঁটা ও ইট পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে আহত এসআই বাবুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
মন্তব্য করুন