বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে চিরদিন স্মরনীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ট অর্জন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা আমাদের প্রেরণার উৎস ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার স্বাধীনতার মূলনীতিকে ধ্বংস করে দেশে একটি দলের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। মানুষের মৌলিকা মানবাধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের তরুণ ছাত্র সমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিল। সেই আন্দোলন দমাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস গণহত্যা চালায়। এতে ২ হাজার মানুষ শহীদ হলেও আহত হন ৩০ হাজারের মতো মানুষ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের শুধু পতনই হয়নি, খুনি হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে আহতরা এখনো হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাৎড়াচ্ছেন। আমরা তাদের সুস্থতা কামনা করছি। জামায়াত মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও জুলাই আন্দোলনের ছাত্র-জনতার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সিলেটের ৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুুদ্ধের শহীদ ও জুলাই আন্দোলনের নিহতদের মাগফেরাত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু, জুলাই আন্দোলনে আহতদের মাগফেরাত কামনা বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবুল ফারুক, আবুল কাশেম, মঈন উদ্দিন, মো. সিরাজ চুন্নু, নওয়াব আলী, মো. সোনা মিয়া, মো. সিদ্দেক আলী, মির্জা জামাল পাশা, আব্দুস শহীদ খাঁন, নজরুল হোসেন, জমির উদ্দিন, বাবুল মিয়া, মো. মনাফ খাঁন, মো. রইছ আলী, হাজী মখলিছুর রহমান, মো. কলমদর আলী, মো. জানু মিয়া, মো. হিরা মিয়া, শোয়েব আহমদ, সুরুজ আলী, মহি উদ্দিন, ছখাই মিয়া, এখলাছুর রহমান, মছদ্দর আলী, হানিফ আলী, আনোয়ার রাজা চৌধুরী, লিয়াকত আলী বাচ্চু, জানু মিয়া, আজিজুল হক খসরু, সমছির আলী, মো. সুরুজ আলী, সায়েদ আলী ময়না মিয়া ও ছানাওর আলী।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সিলেট মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন।
মন্তব্য করুন