অন্তবর্তীকালীন সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ধান-চালের দাম যাতে সহনশীল পর্যায়ে থাকে তার জন্য সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নিয়ে যাবে। আমরা আশা করছি এ বছর ধান-চাল সংগ্রহের যে টার্গেট আছে সেটি অর্জন করব।’
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী সার্কিট হাউজে চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ আয়োজিত ওই সভার রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাকে কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন, আমন ধান-চাল সংগ্রহের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা ইনশাল্লাহ অর্জিত হবে এবং সেই অর্জন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’
ধান-চাল ক্রয়ের সরকারি মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন,‘আমরা হিসেবে নিকেশ করে দেখেছি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাদের তথ্য দিয়েছে উৎপাদক খরচ কত। পাশাপাশি কৃষকদের কত লাভ দেওয়া সম্ভব। সেটা বিবেচনা করে এবারে গতবারের চেয়ে তিন টাকা বেশি দরে ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করার জন্য সরকার নিজস্ব কিছু মজুদ করতে চায় উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এর উদ্দেশ্য থাকে দুইটা। একটা হলো, মৌসুমে চট করে ফসলের দাম কমে যায়। তার জন্য সরকার ক্রেতা হিসেবে মার্কেটে আসে। সেটা কিনলে সরকারের যেভাবে একটা মজুদ থাকে। পাশাপাশি কৃষক ন্যায্য মূল্য পায়। এছাড়াও আপদকালে সেই খাদ্যশস্য আমরা মার্কেটে ইনজেক্ট করি। ওএমএসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এটি ইনজেক্ট করি। এটা খাদ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখে।’
কৃষক এলএসডি মুখি নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘এর জন্য কেনার জন্য কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটা যথেষ্ট ইউজার ফেন্ডলি নয় বলে আমরা মনে করছি। এই সংস্থায় আসলে আগস্টের পর অনেকগুলো মুখের পরিবর্তন হয়েছে। আমি উপদেষ্টা হিসেবে এসেছি এক মাসের বেশি হচ্ছে। খাদ্য সচিব এসেছেন তিন মাসও হয়নি। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসেছেন তারও তিনমাস হয়নি। সেক্ষেত্রে অনেকগুলো মুখের পরিবর্তন হয়েছে। এ সময়ে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ভবিষ্যতে আমরা এটিকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করব।’
মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল কাদের, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানসহ বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক, খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন