সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির ৩ নেতাকে বেধড়ক মারধর

হাসপাতালে আহত নেতারা। ছবি : কালবেলা
হাসপাতালে আহত নেতারা। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন নেতাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় আহত নেতারা হলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদর উপজেলার সংগঠক হাসান নাসিমুল ওরফে রাসেল।

পুলিশ আহত নাগরিক কমিটির নেতারা ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি লিশিয়ারা গ্রামের রাবেয়া খাতুন গত তিন থেকে চার মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে স্বামী মো. হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। রাবেয়া খাতুন সম্পর্কে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহর খালা হন। আদালত উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য মফিজুর রহমানসহ দুপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন।

রোববার বিকেল ৫টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে পৌঁছতে শুরু করেন। তবে রাবেয়া খাতুনের পক্ষের লোকজন কিছুটা দেরিতে পৌঁছায় বলে অন্যদিন সালিস হবে বলে আইনজীবীরা জানান। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে মফিজুর রহমানের কক্ষে পৌঁছেন আতাউল্লাহ, জিহান মাহমুদ ও হাসান নাসিমুল। সেখানে চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে বসেন আতাউল্লাহ। এ সময় দেরিতে পৌঁছানোসহ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আতাউল্লাহসহ বাকিদের কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা আতাউল্লাহসহ জাতীয় নাগরিক কমিটির জিহান মাহমুদ ও হাসান নাসিমুলকে মারধর করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগেই আইনজীবীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বলেন, নাসিরনগর থেকে আমাদের এক সহযোদ্ধাকে আইসিটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার জামিনের জন্য আমরা আদালতে যাই। পরে কসবার একজন আত্মীয় পরিচয় করিয়ে দিতে আমাকে ডেকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে নিয়ে যান। আমাদের পরিচয় শুনে তারা মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে বাতি নিভিয়ে ও দরজা বন্ধ করে আমাদের মারধর করেছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, যৌতুক-সংক্রান্ত পারিবারিক বিষয়টি মীমাংসার জন্য জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে দুই পক্ষের আইনজীবীরা বসেন। খালার কথায় সেখানে যান আতাউল্লাহ। এটি নেহাত একটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মামলা। পরিষ্কার করে বলছি, এখানে দলাদলির বা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হয়। অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

রাজধানীর কদমতলী থেকে দুই বোন নিখোঁজ

রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি কমেছে অর্ধেকের বেশি

আজ মহান বিজয় দিবস

বনানীতে এনডিএম এর ঐক্যের র‍্যালি

আকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, পাবেন অনেক সুবিধা

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির নতুন কমিটি

তাহেরীর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই

দলে চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজের জায়গা হবে না : বিএনপি নেতা

১০

নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

১১

আব্দুল্লাহ মো. তাহেরকে নিয়ে ইলিয়াসের বক্তব্যের নিন্দা জামায়াতের

১২

বাসের ধাক্কায় ঢাকা কলেজছাত্রের মা আহত, ৩ বাস আটক

১৩

নির্বাচিত সরকারই রাষ্ট্র সংস্কার করবে : আমিনুল হক

১৪

শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের প্রেরণার উৎস : জামায়াত নেতা

১৫

‘ধান-চালের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার’

১৬

বিনা চাষে কালো বোরো ধানে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা

১৭

‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া কেউই দলের জন্য অপরিহার্য নয়’

১৮

দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল উপকূলের জন্য জলবায়ু সুবিচার দাবি

১৯

বিটিভি ও বেতারের সমন্বয়ে সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার অভিমত

২০
X