হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘ইজতেমা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী ও জিএমপির কমিশনার নাজমুল করিম খান আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের অপসারণ করতে হবে।’
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তরপাশের কামারপাড়া সড়কে তাবলিগের শুরায়ি নেজামের আহ্বানে উলামা মাশায়েখ ও তওহিদি জনতার ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল করিম খানের অপসারণসহ বেশ কিছু দাবিতে সমাবেশ করেছে উলামা মাশায়েখ ও তওহিদি জনতা।
সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে আমরা ইজতেমা ময়দানে আছি। যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুলিশ কমিশনারকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি আমানুল হক, মুফতি ফজলুল করিম কাসেমী ও মাওলানা মাসউদুল করিম প্রমুখ।
এর আগে, মাওলানা সাদকে নিয়ে জোড় ইজতেমা করার দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সাদ অনুসারীরা।
এ সময় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে লাখ লাখ মুসল্লি নিয়ে অবস্থান ও ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ, আগামী বছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হবে। প্রথম পর্বে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।
এ ছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর শুরায়ি নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। আর আগামী ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিদের জোড় ইজতেমার জন্য সময় নির্ধারণ করা হলেও জুবায়েরপন্থিরা তা করতে দেবে না বলে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
মন্তব্য করুন