ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘ভারত খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনার দুঃখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। বাংলাদেশকে দুর্বল ভাববেন না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করলে দিল্লী পর্যন্ত খবর করে ছাড়বো। এ দেশের জনগণ যদি একবার ক্ষেপে যায়, যদি লড়াইয়ে নামে কোনো অপশক্তি সামনে ঠিকবে না। বন্ধুত্ব করলে হাসিনা নয় এ দেশের জনগণের সঙ্গে করুন। আমাদের হাত বাড়ানো আছে।’
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিব উন নবী খান সোহেল আরও বলেন, ‘এ দেশে ৯ বছর লড়াই করে নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। শুধু এ উদ্দেশ্যে যে, কোনো স্বৈরাচার থাকবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতার নেশায় শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে সেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। অন্য কোনো কারণে না হলেও শুধু এই কারণেই তার জেল হওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত ডামি নির্বাচন দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। কিছুদিন পর পর আমাদের কোনো রক্তাক্ত সহযোদ্ধা শহীদের গায়েবানা জানাযা পড়তে হতো। শেখ হাসিনা জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তার বাপ-দাদার দেশ মনে করে ওনি যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কিছুদিন পর ইন্ডিয়া গিয়ে আশ্বাস নিয়ে আসতেন। এইবার কোনো কিছুই কাজ হলো না। বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করে শেখ হাসিনা এখন দেশ ছাড়া। এই দেশে আর আশার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ জুলাই-আগস্ট শহীদদের রক্তের কথা ভুলবে না। সব রক্তের হিসাব দিতে হবে। মরা মানুষ কখনও ফিরে আসে না। রাজনৈতিকভাবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। পালিয়ে গেছে চোরের মতো। যারা বলেছিল শহীদ জিয়া মরে গেছে বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। এখন তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে।’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর মোল্লা, রুহুল হোসাইন, অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সুমন, সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু নাসের সুমন, সদস্য সচিব শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহম্মেদ নেভিনসহ বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ২৭ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সভাপতি ও হাজী ইসরাইল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
মন্তব্য করুন