উত্তরের জেলা দিনাজপুরে টানা কয়েক দিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। কদিন ধরে রাতের শুরু থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা পড়েছে। মিলছে না সূর্যের দেখা। ঘন কুয়াশার কারণে বাড়ছে শীতের প্রকোপ।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে বুধবার এ জেলায় দেশের তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সর্বত্রই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বইছে হিমবাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় কনকনে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, রাতের তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা বেড়েছে, তবে দিনের তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি কমেছে। আকাশে মেঘের উপস্থিতি বিরাজ করার কারণে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পায়নি। শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার।
মন্তব্য করুন