বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এন.আই.এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাণ্ডারিয়া পৌরশহরের দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া মহল্লার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় মিরপুর মডেল থানার অদূরে সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে অংশ নেওয়া আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান ১৯৯জন নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি মিরপুর মডেল থানায় এজাহারভুক্ত। ওই মামলায় প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে ৪০ নম্বর আসামি করা হয়।
প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ফাতিমা খানমর বলেন, আমার স্বামী ওমর ফারুক একজন নিরীহ মানুষ। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভাণ্ডারিয়ায় ছিলেন। তিনি ঢাকায় যাননি। এ ছাড়া তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এবং বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মাসুমের সঙ্গে কমিটি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট মাছুম বিদ্যালয়ে সভাপতি না হতে পেরে ষড়যন্ত্র করে আমার শিক্ষক স্বামী ওমর ফারুককে মামলায় আসামি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আমার স্বামীকে হয়রানির জন্য আরও দুটি মামলায় মিথ্যা আসামি করেছে। আমি সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচারের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার বলেন, ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন কালবেলাকে বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে মিরপুর মডেল থানার আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলার ৪০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান আসামি। এ ছাড়া ওই মামলায় মোট ১৯৯ জন নামীয় এবং ১০০/২০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি রয়েছে।
মন্তব্য করুন