আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যাবে না।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পশ্চিম রাজপাশা দাখিল মাদ্রাসা ও তালিমুল কোরআন নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসির মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদীর কণ্ঠ ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম বাঘের মতো গর্জে উঠেছিল। বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড হলেই প্রথম আল্লামা সাঈদী তার প্রতিবাদ করতেন।
তিনি বলেন, যারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি ইনসাফ পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, জীবন দিয়েছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। তারপরও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। অথচ স্বৈরাচার হাসিনা ১৭ বছর অবৈধভাবে দেশ চালিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ১/১১ সরকারের সময়ও জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ, যে জনগণের সম্পদ, রাষ্ট্রের সম্পদ দুর্নীতি করে পেটে ঢোকায়, সে মূলত জাহান্নামের আগুন তার পেটে ঢোকায়। এটা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা খুব ভালো করেই জানেন। তারা ব্যক্তি স্বার্থে নয়, আল্লাহকে ভয় করেই রাজনীতি করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য আমার বাবা আল্লামা সাঈদী নির্ভীক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাই মানুষ বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু তার দালালরা এখনো বাংলাদেশে আছে। তারা বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য গভীরভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতের দালাল দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পরিচালিত হতো। ভারত যেই প্রেসক্রিপশন দিত সেই অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া পরিচালিত হতো। বিচারের নামে তারা প্রহসন করে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে হামলা-মামলা নির্যাতন চালাত।
মাওলানা মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এ মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা জামাতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. জহিরুল হক, উপজেলা জামায়েতের আমির মাওলানা মো. আমির হোসেন খান, সেক্রেটারি মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন