ভাত দে, কাপড় দে, নইলে পাথরকোয়ারি খুলে দে। পাথরকোয়ারি বন্ধ কেন প্রশাসন জবাব চাই, লাখো মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ কেন জবাব চাই, পরিবেশের দোহাই দিয়ে পাথরকোয়ারি বন্ধ কেন? জবাব চাই? এ স্লোগানকে সামনে রেখে পাথরকোয়ারি বন্ধ রাখার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি পাথরকোয়ারিসহ সিলেটের সব পাথরকোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে উপজেলার হাদারপার বাজারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ হকের সভাপতিত্বে ও বিছনাকান্দি পাথর সাপ্লাইয়ার সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য বদরুজ্জামান বদরুলের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী আব্দুন নুর, সাবেক ইউপি সদস্য ওসমান গনি, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুস শহীদ, সিফত উল্লাহ, কলিম উল্লাহ, হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, মাওলানা আখলাকুল আম্বিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জৈন উদ্দিন, রুস্তমপুর ইউনিয়ন ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, রুস্তমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জসিম উদ্দিন, রুস্তমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদুল হক, বিছনাকান্দি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস ছত্তার, আবুল হোসেন।
বক্তারা বলেন, গত ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বৈধভাবে বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ীরা পাথর ক্রয় করার পর সহকারী কমিশনার ভূমি, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক অবৈধভাবে পাথর জব্দের প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা বলেন, ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে পাথর ক্রয়ের লক্ষ্যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে আইন করে বিছনাকান্দিসহ দেশের সবকটি পাথরকোয়ারি বন্ধ করে। অবিলম্বে পাথরকোয়ারি খুলে না দিলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি পালনের হুমকি দেন তারা।
মন্তব্য করুন