বগুড়ার ধুনটে চার মামলার আসামি বুলটন খন্দকারকে (৫২) মাদক বিক্রির সময় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তাকে উপজেলার শাহদহ গ্রামের ব্রিজ এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুলটন খন্দকার শাহদহ গ্রামের আল মাহমুদ খন্দকারের ছেলে। তিনি উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
থানা সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের এমদাদুল হক রনির শহরে হোটেল আরাফাত নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় তলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ২০২২ সালের ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া মাহফিল চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারপিট, ব্যানারে অগ্নিসংযোগ ও হোটেল ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুটে নেন।
সূত্র জানায়, এ ঘটনায় এমদাদুল হক রনির বাদী হয়ে গত ১২ নভেম্বর দায়েরকৃত মামলায় বুলটন খন্দকার এজাহারভুক্ত আসামি।
মঙ্গলবার রাতে ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে শাহদহ গ্রামের ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুলটন খন্দকার ওই সময় ব্রিজ এলাকায় মাদকসেবীদের কাছে ফেনসিডিল বিক্রি করছিলেন। এর আগে বুলটন খন্দকারের বিরুদ্ধে থানায় আরও ৩টি মামলা দায়ের হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় ৪টি মামলা দায়ের হলো।
মন্তব্য করুন