‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দখল করে প্রভাবশালীদের লেবু চাষ’ শিরোনামে ২৩ নভেম্বর কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর পর বন বিভাগের ডিএফও ড. জাহাঙ্গীর আলম ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান ও চুনারুঘাট ইউএনও মোহাম্মদ রবিন ত্রিমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
কালবেলার সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সহকারী বন সংরক্ষককে দ্রুত জমি উদ্ধার ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বন দখলকারী ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জমির কাগজপত্র জমা দেওয়াসহ বনের উপর সার্ভেয়িং কাজ শুরু করেছে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ইনচার্জ ফরেস্টার মামুনুর রশিদ এসবের সত্যতা কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা ডিএফও স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুত উদ্যানটিকে অবমুক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ছাড়া চুনারঘাটের ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়াও সরেজমিনে পরিদর্শন করে জাতীয় উদ্যানের জায়গা উদ্ধারে উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
ইউএনও মো. রবিন মিয়া কালবেলাকে জানান, আমরা ইতোমধ্যে বন বিভাগকেও চিঠি পাঠিয়েছি। এছাড়া জেলা প্রশাসককেও জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
অন্যদিকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার কর্তৃকও সাতছড়ি উদ্যানে বনের জায়গা দখল করে লেবু চাষের হোতাদের বিষয়ে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু হয়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান কালবেলাকে জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের নৃগোষ্ঠী সিম্প্যাথি নিয়ে যারা বনের জায়গায় দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। গোয়েন্দা নজরদারি সেখানে বাড়িয়েছি। তদন্ত করে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বন দখলের উপরে প্রতিবেদন প্রচার করায় কালবেলাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল।
তিনি জানান, প্রতিবেদনটি প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষের ত্রিমুখী পদক্ষেপ দেখা গেছে। রিজার্ভ ফরেস্টে লেবু চাষের নামে বনভূমি উদ্ধারে কাজ করছে ডিএফও, ইউএনও ও পুলিশ সুপার সবাই। আমরা এদের সবাইকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন