কক্সবাজারের পেকুয়ায় কলেজছাত্র জিহাদ হত্যা মামলার আসামি ধলা মিয়া ওরফে প্রকাশ দানু গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের লালব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ধলা মিয়া ওরফে প্রকাশ দানু মহেশখালীর মাহারা পাড়া এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কলমদরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কলেজছাত্র জিহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ধলা মিয়া ও একই মামলার ২ নম্বর আসামি মোবারক আলী সকালে চকরিয়া লালব্রিজ এলাকায় এলে স্থানীয়রা তাদের দেখতে পেয়ে ঘেরাও করে। এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের গণপিটুনি দেয়।
তারা আরও জানান, বিষয়টি থানা পুলিশকে ফোন করে জানালে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গণধোলাইয়ে আহত আসামি ধলা মিয়া ও মোবারককে উদ্ধার করে। এ সময় অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয়রা ধলা মিয়াকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং অপর আসামি মোবরককে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, আহত ধলা মিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তাফা বলেন, সরকারি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় হরিণাফাঁড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ধলা মিয়াকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মনজুরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, অপহরণ সংক্রান্ত একটি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং সেখানে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশও আহত হয়। পরে পুলিশ মোবারকসহ দুজনকে উদ্ধার করে একজনকে থানায় নিয়ে আসে এবং অপরজনকে পেকুয়া হাসপাতালে পাঠায়। পরে চাঞ্চল্যকর জিহাদ হত্যা মামলায় ওই আসামি জামিনে থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আসহাবুল করিম জিহাদকে তার পেকুয়ার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী এলাকায় নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বাবা মকছুদুল করিম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন