ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ২ নেতা ও যুবলীগের দুই নেতাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেনি দেশটির পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারার অভিযোগে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের মেঘালয় রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটি মামলা ছিল। কোনো ধর্ষণের অভিযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে। ডাউকি থানায় এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ ছিল। সে মামলাতেই কলকাতা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে।
মেঘালয়ের স্থানীয় সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে ডাউকি সীমান্তে ট্রাকচালকের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় আওয়ামী লীগের এ চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেসব ধারায় গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলাগুলো মূলত অস্ত্র দিয়ে হামলা (আগ্নেয়াস্ত্র নয়), হামলার জন্য জমায়েত হওয়া, এক লাখ টাকার কম পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধনের মতো অভিযোগ। এ ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের মামলাও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এর আগে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে কলকাতা শহরের হাতিয়াড়া এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের ওই চার নেতাকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে মেঘালয় পুলিশ। রোববার বারাসাত কোর্টে তাদের হাজির করা হলে সেখানকার আদালত তাদের মেঘালয় রাজ্যের আদালতে উপস্থিত করার আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের নামে শিলংয়ের ডাউকি থানার একটি মামলা আছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নানাভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের চরিত্র হনন করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আশা করি তারা আইনি প্রক্রিয়ায় সুবিচার পাবেন।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালান নাসির উদ্দিন খানসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের উল্লেখযোগ্য অংশই শিলংয়ে অবস্থান নেন। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে নাসির উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা থাকতেন। শীতের প্রকোপ বাড়ায় এ মাসের শুরুতে তারা শিলং ছেড়ে কলকাতায় পাড়ি জমান। সেখান থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন