লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আতোয়ারুল ও তার ছেলে মুসলিম মিল্লাত মারুফের খোঁজ নেয়নি কেউ। ৪ আগস্ট দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে বাবা পায়ে ও ছেলে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনার পর থেকে কোনো কাজ করতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবারটি।
আহত আতোয়ারুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে যায় আমার ছেলে মুসলিম মিল্লাত মারুফ। আমি তার খোঁজ নিতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার ও ছেলের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ডা. শাহজালাল মানিকের চেম্বারে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আহত হওয়ার কারণে আমি দীর্ঘদিন থেকে কোনো কাজ করতে পারছি না। ফলে আমার পরিবার অর্থ সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন করে আমরা আহত হলাম, আজ নতুন বাংলাদেশের সুফল সবাই ভোগ করছে। নেতারা এখন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। এখন কেউ আমাদের আর খবর রাখে না। খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে, কেউ খবর নিতে এলো না। গত তিন মাসে সরকারের লোকজনও খোঁজখবর নিতে এলো না। চিকিৎসা বাবদ কেউ কোনো সহায়তা করতেও এগিয়ে আসেনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুম্পা বলেন, আহত আতোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলের বিষয়টি জেনেছি। তারা আমার কাছে এসেছিলেন। সরকারিভাবে আহতদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে তারা যুক্ত হয়নি। তালিকার বিষয়টি তারা জানতেন না। পরে তারা তালিকায় যুক্তের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। তারা যেন সুযোগ-সুবিধা পায় সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন