পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নৈতিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তিন যুবদল নেতাকে বহিষ্কারের ১২ ঘণ্টা পেরোতেই আরও এক যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে এদিন সকালে বহিষ্কৃত নেতা হলেন- কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৪নং ওয়ার্ডের ২নং সদস্য মো. হাসান। তাকে দলের সব কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে এদিন সকালে তিন বহিষ্কৃতরা হলেন- কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সোহেল মিয়াজী। কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মিরাজ হাওলাদার এবং কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য মো. ইউসুফ ঘরামি। তিনজনকেই দলের সব কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মো. হাসান কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যেসব অভিযোগ এনে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই। এটি সম্পূর্ণ দলীয় চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক নোংরামি। কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তা জেলা যুবদলের কাছে জানতে চাইবো।
কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক কালবেলাকে বলেন, দলীয় নিয়ম-নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে প্রথমে তিনজন এবং পরে একজনকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা যুবদল আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। এই পরিষ্কার আদেশ নোটিশ আকারে জেলা থেকে করা হয়েছে। তবে কেউ যদি দলের নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তাহলে তার কোনো দায়ভার কুয়াকাটা পৌর যুবদল নিবে না।
লিখিত বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পটুয়াখালী জেলা শাখার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের ২নং সদস্য মো. হাসানকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
তিনি বলেন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন এবং (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মো. শিপলু খান এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন