বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বীহী সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে নারায়ণগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফারহানা হক মুনা,আরিফ সোহেল, তরিকুল ইসলাম পিয়াস,জিসান আলম, নিরব রায়হান, আলমগীর হোসাইন, সাইফুল্লা শাকিল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান।
পুলিশের বরাতে জানা যায়, রাত আড়াইটার গাড়িটি যানজটের কারণে থেমে থেমে চলছিল। এরই মধ্যে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা একদল লোক গাড়ির কাচ ভেঙে চালকের গলায় চাপাতি ধরে। হামলাকারীরা একপর্যায়ে গাড়িটির চারপাশ ঘিরে ফেলে। তারা চাপাতিসহ অন্য অস্ত্রের আঘাতে পুরো গাড়িটির কাচ ভেঙে মোবাইল ফোন, টাকা, ব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি কেড়ে নেয়। আরিফ সোহেলকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ির বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটিকে ছিনতাই উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, গাড়িটি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টহল দলটি এগিয়ে গেলে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে আমরা ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ শুরু করেছি। হামলার শিকার ছাত্রনেতাদের একটি দল পরে ভোর ৫টার দিকে বান্দরবান যান আর আহত দুজন ঢাকায় ফিরে যান।
মন্তব্য করুন