শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় বাৎসরিক অর্জিত ছুটির টাকা প্রতি মাসে পরিশোধ, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে কারখানায় উপস্থিত হলেও কাজ করেননি কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। কাজে যোগ না দেওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে কাজ না করেই শান্তিপূর্ণভাবে বাসায় ফিরে যান শ্রমিকরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সাভারের আশুলিয়ায় কয়েকটি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)’ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আশুলিয়া এলাকায় স্ব-বেতনে ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছেন এমন কারখানার সংখ্যা ৭টি। এসব কারখানার মধ্যে রয়েছে এজে সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, ফিরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা বেসিক লিমিটেড, মাম গার্মেন্টস লিমিটেড, আল মুসলিম অ্যাপারেলস লিমিটেড ও টাউজার লাইন লিমিটেড।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর কর্মকর্তারা জানান, আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার নাসা, আল-মুসলিম, নিউএইজ, টাউজার লাইনের শ্রমিকরা কারখানায় উপস্থিত হলেও কাজে যোগ না দেওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা বাসায় ফিরে যান। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও একাধিক কারখানার শ্রমিকরা জানান, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি, বাৎসরিক অর্জিত ছুটির বকেয়া টাকা প্রতি মাসে পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন। এসব দাবির পাশাপাশি শ্রমিকরা নিম্নতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিও জানান। এ সময় শ্রমিকরা কারখানার ভেতরের অংশে কর্মবিরতি পালন করেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন কালবেলাকে বলেন, কিছু দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে। মূলত শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত না নিলে হয়তো সংকট আরও বাড়তে পারে।
আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূইয়া কালবেলাকে বলেন, সকালে নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকরা কারখানায় উপস্থিত হলেও কাজে যোগ দেয়নি । নাসা, আল-মুসলিম, নিউএইজ, টাউজার লাইনের শ্রমিকরা বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে কাজ না করে কারখানার ভেতরে অবস্থান করেন। পরে কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে তারা বাড়ি ফিরে যান। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন