ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুপক্ষের বিবাদ থামাতে গিয়ে হামলায় বাদশা মোল্যা (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাদশা মোল্যাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের দীঘলগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় দুপক্ষের মধ্যে চলমান ঝগড়া-বিবাদ থামাতে গিয়ে বাদশা মোল্যা নামে একজন আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গতকাল সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তিনটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এ ঘটনায় দীঘলগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মৃত বাদশা মোল্যার ভাই মিরাজ মোল্যা জানান, পূর্বশত্রুতা ও গরু চুরির ঘটনা নিয়ে দীঘলগ্রামের বাহারুল মোল্যা ও রহিম মোল্যার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে বাহারুলের স্ত্রী রীনা খাতুনের সঙ্গে রহিম মোল্যার পরিবারের নারীদের মধ্যে ঝগড়া ও বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে। এ সময় বাদশা মোল্যাসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা বাহারুল ও রহিমের পরিবারের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ঝগড়ার মধ্যে হঠাৎ প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে রহিম মোল্যা (৫০), তার ছেলে টিপু মোল্যা (৩৫), টিটুল মোল্যা (৩২), মিটুল মোল্যা (৩০) ও একই গ্রামের নুর ইসলাম (৩২), মজনু মোল্যা (৪৫) ও বিল্লাল হোসেন (৩৫) বাদশা মোল্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত বাদশাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সোমবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান বাদশার ভাই মিরাজ মোল্যা।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। দীঘলগ্রামে হামলা ও মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন